যুক্তরাষ্ট্রে হাজার টাকা ছাড়ালো ডিমের ডজন

কিছু কিছু এলাকায় ডিমের ডজন ছাড়িয়েছে ১০ ডলার, বাংলাদেশি মূল্যে যা ১,২০০ টাকারও বেশিযুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে ডিমের দাম। গড় হিসেবে ডজন প্রতি ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকার বেশি (৪.৯৫ ডলার), কোথাও কোথাও এটা ১,২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। দেশটিতে চলমান বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে এভাবে আকাশ ছুঁয়েছে ডিমের দাম।

জানুয়ারি মাসের মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচকে ডিমের এই দাম প্রকাশ করেছে মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

ডিমের বাজারের এই আগুনের আঁচ বোঝার জন্য যদিও সরকারি পরিসংখ্যানের প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু এলাকায় ডিমের ডজন ছাড়িয়েছে ১০ ডলার, বাংলাদেশি মূল্যে যা ১,২০০ টাকারও বেশি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে রেকর্ড হওয়া সর্বনিম্ন মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে বর্তমান দাম। এর আগে দাম বেড়ে গড়প্রতি ডজন দাঁড়িয়েছিল ৪.৮২ ডলারে। চলতি বছরে সেই মূল্যকেও ছাড়িয়ে গেছে।

ডিমের দামের এই বৃদ্ধি ২০১৫ সালের শেষ বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে জানুয়ারি মাসে মার্কিন নাগরিকদের খাদ্যব্যয় দুই-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, শিগগির না-ও কমতে পারে ডিমের দাম। বরং সামনে ইস্টার সানডের ছুটিতে আরও লাগামছাড়া হতে পারে এই দাম।

দেশটির কৃষি বিভাগ গত মাসেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছরে ২০% বাড়তে পারে ডিমের দাম।

সম্প্রতি দেশটিতে কয়েকটি অঞ্চলে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। এতে খামারিদের উৎপাদন মূল্য বেড়েছে। আগের চেয়ে উন্নতমানের খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় ঔষধ, এর প্রভাব পড়ে ডিমের দামে। এছাড়াও খামারিরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির ১০টি রাজ্যে চালু হওয়া খাঁচা-মুক্ত ফার্মে মুরগির ডিম উৎপাদন ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন এই দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে। তাদের ধারণা, এতে ওই অঞ্চলগুলোতে ডিমের সরবরাহ কমে গিয়েছে। ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে দাম।

যুক্তরাষ্ট্রের খামারিদের আর্থিক সাহায্য ও ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোব্যাংকের এক বিশ্লেষক ব্রায়ান আর্নেস্ট বলেছেন, “ডিমের দাম বেশি থাকায় যদি ব্যবসায়ীরা মজুত শুরু করে তাহলে সংকট আরও বাড়বে। ডিমের অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাদের ডিম কিনতে নিরুৎসাহিত করতে পারে। তার ধারণা, এতে ডিমের চাহিদা কিছুটা কমলেও দামের ওপর তেমন প্রভাব না-ও পড়তে পারে। ডিমের দাম কমে বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *