ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কের পর এবার রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কের পর এবার রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভৈরব রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন। এতে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে বিক্ষুব্ধ লোকজনের রোষানলে পড়ে।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ইঞ্জিনের ওপর উঠে ট্রেনটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। এই নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ট্রেনের ইঞ্জিন লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়।

এদিকে রেলপথ অবরোধের খবরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস, সিলেট থেকে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। ফলে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ভৈরব ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগসহ নানা দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও সরকারের অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। ভৈরবকে জেলার দাবি আজকের নয়, তিন দশক ধরে ভৈরববাসী এই দাবি জানিয়ে আসছেন। ভৈরববাসীর দাবির মুখে ২০০৯ সালে তৎকালীন সরকার জেলার ঘোষণার জন্য একটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে জেলা আর বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে ১৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তাঁদের এখন জেলার দাবি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

একই দাবিতে গত রোববার আন্দোলনকারীরা ভৈরবের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন।

আন্দোলনকারীদের একজন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভৈরবকে জেলার আন্দোলন আমরা অনেক দিন ধরে করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত করে যাব। তবে আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। ট্রেনে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।’